নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রশ্ন- এই প্রবাসীর কাছে এতো অস্ত্র কোথা থেকে এলো? বা তিনি কেন এত অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন?
তিনি কি কোন উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য? নাকি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্যে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন?
এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গ্রেপ্তারের পর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
আরো কিছু প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে পুলিশের মনে, সেই বিষয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে।
আরো পড়ুন – ঘাটাইল থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধন
তারা জানান, সকল গোয়েন্দা সংস্থার চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে এই প্রবাসী দুইটি বিদেশি পিস্তলসহ এতোগুলো অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখেছে?
সবারই একটাই প্রশ্ন- উদ্দেশ্য কি?
এই সব প্রশ্নের জবাব পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে রিমান্ডের সময়সীমা পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৬৪ ধারার জবানবন্দী পর্যন্ত।
তার আগ পর্যন্ত আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারেই থাকতে হবে।
তবে, এই বিষয়ে সম্ভাব্য দুইটি সূত্রকে সন্দেহ করছে ও তাদের উপর নজরদারি বাড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
আর একটি রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে এলাকায় প্রভাব বা আধিপত্য বিস্তার আর নির্বাচনের সময় অস্ত্রগুলো কেন্দ্র দখলের জন্য ব্যবহার করা হতো।
উল্লেখ্য- টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুটি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্রসহ আরজু মিয়া (৫০) নামে সৌদি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মির্জাপুর থানা পুলিশ উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যাক দেশি বিদেশি অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ুন – অধ্যক্ষ হতে জেলার শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে দৌঁড়াদৌঁড়ি প্রার্থীদের
অস্ত্রসহ আরো যা উদ্ধার করা হয়েছে-
ইতালির তৈরি দুটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন, চার রাউন্ড তাজা গুলি, একটি রাম দা, কয়েকটি চাকু, কয়েকটি ছুরি, দুটি চাপাতি, তিনটি টর্চ লাইট, এন্টি কাটার, দুটি প্লাস, কয়েকটি স্ক্রু ড্রাইভার, মোবাইল ফোন ও স্টিল টেপসহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করে। সম্পাদনা – অলক কুমার