বেতন–ভাতা নিয়ে উজবেকিস্তানের ফুটবলার ওতাবেক ভালিজোনভের অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা। গত ১১ ডিসেম্বর শেখ জামাল ক্লাবকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ওতাবেকের পাওনা পরিশোধ করে দেওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পাওয়া এক মেইলে শেখ জামাল নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ব্যাপারটি জানতে পেরেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর ফিফার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিষটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শেখ জামাল ক্লাব ঘরোয়া ফুটবলে কোনো বিদেশিকে নিবন্ধন করতে পারবে না। এ ব্যাপারে ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে দেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনেও নিষেধাজ্ঞা আসত। তবে সেটি কার্যকর হতো অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে। এখন অবশ্য সেই প্রশ্ন আসছে না। ওতাবেককে পাওনা টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ক্লাবের একটি সূত্র পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছে, ওতাবেককে গত সোমবারই পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ওতাবেক তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ফিফাকে অর্থপ্রাপ্তির কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। ওতাবেক গত মৌসুমে ছিলেন শেখ জামালে, তাঁর বেতন ছিল মাসে সাড়ে ৮ হাজার ডলার। এ মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলা এই উজবেক ফুটবলার গত জুনে প্রিমিয়ার লিগের একেবারে শেষ দিকে মায়ের অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। লিগে তখনো তিনটি ম্যাচ বাকি ছিল। শেখ জামালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, মে মাস পর্যন্ত ওতাবেকের বেতন পুরোপুরি পরিশোধ করা ছিল। কিন্তু তিনি ১০ দিনের ছুটি শেষ ক্লাবে ফেরত আসেননি। শেখ জামাল তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল।
ওতাবেক এর পরপরই ক্লাবের কাছে তাঁর দুই মাসের বেতন বাবদ ১৭ হাজার ডলার দাবি করেন। এ ব্যাপারে তিনি ফিফার কাছে অভিযোগও করেন। এরপরই ফিফা গত ডিসেম্বরে শেখ জামালের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। শেখ জামালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ওতাবেক যে পরিমাণ অর্থ দাবি করেছিলেন, তার পুরোটাই আমরা গত সোমবার পরিশোধ করে দিয়েছি।’