টাঙ্গাইল সংবাদদাত : টাঙ্গাইলে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে হত্যা মামলার আসামীরা। মামলার প্রায় দেড় মাসে অতিবাহিত হলেও হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। নাম উল্লেখপূর্বক ৮ আসামীর ৫ জনসহ অজ্ঞাতরা গ্রেফতার না হওয়াসহ আসামীদের প্রকাশ্যে চলাফেরা নিয়ে চরম আতঙ্ক আর সংশয়ে রয়েছেন বাদি পরিবার।
গত ১৯ জুলাই ঘটনাটি ঘটে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ভাল্লুককান্দি এয়ারপোর্ট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চলতি বছরের ১৯ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কবির (১৭) নামের এক কিশোরের উপর হামলা চালানো হয়। হামলার শুরুতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ভাল্লুককান্দি এয়ারপোর্ট এলাকার মৃত কমরেট জামাত আলীর নাতি কবির (১৭) আহত হলেও তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন মামা মো. মনির হোসেন (৪৫) ও খালু ইন্তাজ বেপারীর ছেলে লিটন মিয়া (৪৫)। ওই দিনই হামলায় গুরুতর আহত লিটন মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই এলাকার মো. লুৎফর রহমানের ছেলে তুষার (২৪), তুহিন (১৯). মৃত. মজিবর রহমানের ছেলে লুৎফর রহমান (৪৫), আব্দুল মোতালেবের ছেলে ইয়াসিন (২২), মো. আরিফের ছেলে সিয়াম (২০), নোয়াই এর ছেলে জাহিদুল (২০), রনির মিয়া ছেলে রাতুল মিয়া (১৯) ও বেড়াবুচনা এলাকার হবির ছেলে দুলন (২২) সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন মো. মনির হোসেন।
মামলার বাদি মো. মনির হোসেন বলেন, মামলার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামীরা এলাকা দিয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করাসহ নানা ভাবে মামলাটি মিমাংসার চেষ্টা শুরু করেছে।
মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে তথ্যটি বানোয়াট দাবি করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে মামলার অন্যতম আসামী তুষার, সিয়াম আর দুলন। অন্যদেরও গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।