করটিয়া হাট বাইপাসে সন্ত্রাসী হামলায় হোটেল ভাঙচুর; বাদিকে ওসির উল্টো মামলার হুমকি!

টাঙ্গাইল প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া হাট বাইপাস নিউ স্টার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী আক্রমনে ভাঙচুর চালানো হয়। গত ২৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় হোটেল মালিক থানায় অভিযোগ করলে দুইদিনেও মামলা নেয়নি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। উল্টো বাদিকে মামলার হুমকি দেন তিনি। এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদি মান্নান ও তার পরিবার।

ভিডিওতে দেখুন – https://youtu.be/CLBf85iIEZY

হোটেল মালিক মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আটিয়ার মিন্টু ও শবেতারা দম্পতি আমার হোটেলে খাইতে আসে। খাওয়া শেষ হইলে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা তৈরি হয়। এসময় স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে হোটেলের বাইরে চলে যায়। তখন স্বামী তাকে আবার বোঝানোর চেষ্টা করে ও হাত ধরে হোটেলের ভিতরে নেয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা বাহিরে থাকা বীরপুশিয়া গ্রামের বেখাটে নাজমুল (২০) ও আকাশ (২০) দেখতে পায় এবং মুঠোফোনে তারা তাদের লিডার সোহানকে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে স্বামী মিন্টু ও তার স্ত্রী শবেতারা বেগমের উপর হামলা করে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় হোটেল মালিক হিসেবে আমি বাধা দিলে আমার হোটেলের চেয়ার টেবিল-গ্লাস সহ যাবতীয় আসবাবপত্র বাইরাইয়া ভাঙ্গিয়া অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে ও আমার ক্যাশ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

সে সময় গলফ (হাইওয়ে পরিদর্শন) ডিউটি পালন করার সময় এএসআই ইস্রাফিল নামের এক পুলিশ সদস্য ওই দম্পতিকে সিএনজি ভাড়া করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানায় সন্ত্রাসী সোহান সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

পরে আমি থানায় একটি অভিযোগ করি। কিন্তু গত ২ দিনে কোন প্রতিকার পাই নাই বা মামলাও এন্ট্রি হয় নাই। এর মধ্যে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওয়াজেদ আমার কাছে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে আমাকে মিমাংসা হওয়ার জন্য বলে বলেন, আলমগীর সিকদার ফোন করে ছিল, উনি বলল, বিষয়টা মিমাংসা করে দেন। আমি ওয়াজেদ সাহেবকে না করে দিয়েছি। আজ (২৯ আগস্ট) দুপুরে মামলার এন্ট্রির বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে বলেন, “আপনার নামেও তো মামলা হবে। আপনি তো ওদের (সোহান বাহিনী) মেরেছেন”। এসময় আমি ওসিকে বলি, স্যার, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের নিরাপত্তা দেয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব থেকেই তাদের নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। ফলে তারা (সোহান বাহিনী) আমার উপর হামলা চালায়। সেখানে উপস্থিত আমার এক ভাতিজা তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের সাথে আমাদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়।

পরে তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে আমার দোকান ভাঙচুর করে। আমি এসেছি আপনার কাছে বিচার চাইতে, উল্টো আপনি আমার বিরুদ্ধে মামলার কথা বলেন। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি।

মান্নান আরো জানান, আমি আইনের আশ্রয় নিতে এসে নিজেই বিপদে পরেছি। ওসি আমার নামে মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। অন্যদিকে সন্ত্রাসীরাও আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।

পরে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেনের কাছে জানাতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উনি ঐ ছেলেদের (সোহান বাহিনী) মারপিট করেছেন, সেজন্য দুইটা মামলাই এন্ট্রি হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার