নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘দেশে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এতে অনেকেই খুশি না, আমিও খুশি না।
তারপরও বলব, গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পর পর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার।
এখন তো আর সরকার নেই। এখনকার সরকার নির্বাচন কমিশন।
তাদের যেন বোধোদয় হয়। তারা যেন প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করে।’
আরো পড়ুন – ২০১৮ সাল, ওটা ভোট হয়েছে? ওটাকে ভোট কয়? – কাদের সিদ্দিকী
‘গতবারের মতো ভোটারবিহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।
তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমার বোন শেখ হাসিনা।
সেজন্য কোন্ দল নির্বাচনে এলো, কোন্ দল এলো না, সেটা বিবেচনায় না নিয়ে; যাতে সব ভোটার ঈদ-পূজার উৎসাহ নিয়ে ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমার বোনকে বলব, আপনার শয়তানগুলোকে গলায় পাগা দেন। গরুকে যেমন পাগা দিতে হয়, যাতে ক্ষেত না খায়।
আপনার কিছু দুষ্ট লোক আছে, তাঁদেরও গলায় পাগা দেন। তা না হলে আপনার সব সম্মান ধ্বংস হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।’
বিএনপির প্রসঙ্গে –
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপিতে মুসলমান আছে কি না, আমি জানি না। ভোটে দাঁড়ালেও আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না।
ইসরায়েল যেভাবে গাজার ওপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের অত্যাচার করছে—এ রকম অবস্থায় পৃথিবীর একজন মানুষেরও আমেরিকার পক্ষে দাঁড়ানো উচিত না।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা আমেরিকায় বাস করি না, আমরা বাংলাদেশে বাস করি।
আমেরিকা স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে, এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব না, বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলেকে বিয়ে করাব; এমন চিন্তাভাবনা করা উচিত না।’
আরো পড়ুন – সরকারি কর্মচারিরা নিজেদের মনীব ভাবে – বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তাঁর দেশের নির্বাচন না, বাংলাদেশের নির্বাচন।
জোটগত নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটই করি, তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে?
বিএনপি নির্বাচনে নেই, জাতীয় পার্টি টানাটানি করছে, আমরা যদি জোট বাঁধি, মানুষ ভোট দেবে কাকে? ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না।
আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী না-ও দিতে পারি। আমরা এত বড় দল না।
কিন্তু আমরা অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেব। অন্য দলের প্রার্থীদেরও আমরা গামছা মার্কা উপহার দেব।’
উল্লেখ্য –
টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজার জিয়ারত করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।