দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ তারা মিয়া। তারা মিয়া মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের চামারী ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় বাঁশের চাটাই তৈরির দিনমুজুরের কাজ করেন। তার চার সন্তানের মধ্যে কলেজ ছাত্র আকাশ (১৮) তৃতীয়। আকাশের পড়াশোনার খরচ চালানোর সম্ভব কখনোই ছিলনা তার বাবার। আকাশ ছোট বেলা থেকেই নিজ উদ্যোগে অর্থ আয় করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলো। ছাত্র হিসেবে আকাশ এসএসসিতে ভাল রেজাল্ট করার পর টাঙ্গাইলের সরকারি এমএম আলী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাশ করেছে। তার ইচ্ছা ভর্তি হতে হবে ভালো কোনো বিশ^বিদ্যালয়ে। তাই রেজাল্টের পরপরই ইলেট্রিকের কাজ জানা আকাশ ঢাকার নেইম পাওয়ার নামের একটি কোম্পানির অধীনে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে এই কম্পানীর গাজীপুরের ডেল্টা গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে গত (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ঝলসে যায় প্রায় মুখ থেকে পেট পর্যন্ত।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের ৪র্থ তলার ১৮ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে আকাশ। তবে চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায়োজন বেশ কয়েক লাখ টাকার। চিকিৎসক জানান, আকাশের শরীরের প্রায় ২৩ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে তবে তার জন্য কত টাকা লাগবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
আকাশের বন্ধু মহল বিভিন্নভাবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা জোগার করেছেন। তারমধ্যে দুই লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়ে গেছে। প্রতিদিন আকাশের পিছনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা।
আকাশের বন্ধু খন্দকার রিফাত জানান, আমরা যেখানে যার কাছে পাচ্ছি টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। তবে টাকার অভাবে আকাশের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে কিনা আমরা এই নিয়ে আতঙ্কে ভুগছি। দেশের ধনবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার চাচ্ছি। অপরদিকে আকাশের বাবা তারা মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে দেশের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং তার ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
যদি কোনো সদয়বান ব্যক্তি আকাশকে আর্থিক সহযোগিতা করতে চান তাহলে ব্যাংক হিসাব নাম্বার- ১৯৯.১০১.৩৭১৬৪, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সোনারগাও জনপদ শাখা, উত্তরা, ঢাকা। প্রয়োজনে যোগাযোগ- ০১৭৯৩-০৩৩৩১৩।