চার দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী আরেক জাহাজে আগুন

খবরবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন তেলবাহী ‘বাংলার সৌরভ’ নামের জাহাজে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জাহাজটিতে আগুন লাগার পর সাগরে ঝাঁপ দিলে সাদেক মিয়া (৬০) নামের একজন ক্রুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের পর ‘বাংলার সৌরভে’ আগুন লাগে।  সাদেক মিয়া কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট এলাকায় মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।

কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক বলেন, সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে তেল নিয়ে বন্দরে ফিরছিল বাংলার সৌরভ। এসময় জাহাজটিতে অপরিশোধিত ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন তেল ছিল বলে জানাগেছে। জাহাজটিতে বিস্ফোরণে আগুন লাগার পর ওই জাহাজে থাকা ৫০ জন নাবিক-ক্রুদের মধ্যে ১২ জন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পানিতে ডুবে মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে চার দিনের ব্যবধানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আরেকটি তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানপূর্বক সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা প্রদান করেছেন উপদেষ্টা ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানায় ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ নামে তেলবাহী দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে তেল নিয়ে বন্দরে পৌঁছানোর কাজ করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে বন্দরের ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’-তে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এ ঘটনায় তিন জন মারা যান।