অমর একুশে বইমেলায় এসেছে টাঙ্গাইলের সন্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দৈনিক প্রথম আলোর আদালত প্রতিবেদক প্রশান্ত কর্মকারের বই ‘সাংবাদিকতা আইন ও আদালত’।
বইটিতে সহজ ভাষায় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে। বইয়ে পরিবেশিত তথ্যগুলো যেকোনো বিটের সাংবাদিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেইসঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সীমা, কনটেম্পট অব কোর্ট (আদালত অবমাননা) ও সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয় আচরণবিধিও বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া, বিচার ব্যবস্থা ও আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত শব্দ এবং টার্মগুলোর অর্থ ও ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। যা আইন সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক হবে।
বইটি প্রকাশ করেছে বিএলবি প্রকাশনী। বাংলা একাডেমির বইমেলার স্টল নম্বর ১২৫-এ। বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। কিন্তু বই মেলা উপলক্ষে বিক্রি মূল্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশান্ত কর্মকার টাঙ্গাইলের একটি শহীদ পরিবারের সন্তান। ১৯৭৪ সালের ১১ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গের আলীগড় খ্যাত সাদ’ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে সহযোগী গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ও বিশ্ববব্যাংকের অর্থনুকুল্যে লিগ্যাল এন্ড জুডিশিয়াল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের জাতীয় আইন উপদেষ্টা আবু মুহাম্মদ মুরতাঈশ কচির সান্নিধ্যে আসেন। তাঁরই হাত ধরে আইন পেশায় প্রবেশ। ২০০২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত ও ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। ২০০৫ সালে দৈনিক মুক্তকণ্ঠের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়। ২০০৬ সালে দৈনিক প্রথম আলোর “আদালত প্রতিবেদক” হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দি প্রোটেকশন অব ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি (এআইপিপিআই)-এর সদস্য, ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অব ইয়ুথ (ওয়ে)-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের জেনারেল সেক্রেটারি, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল সেলের কনভেনর।
তিনি ২০০৮ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের মাস্টার্সের ছাত্রী চিত্রা কর্মকারকে সহধর্মিনী হিসেবে বরণ করে নেন। নীল ও সিন্ধু নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
বইটি একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হওয়া খুবই উচ্ছসিত প্রশান্ত কর্মকার। নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রশান্ত কর্মকার বলেন, এটি আমার লেখা প্রথম বই। আমি যখন আইন পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতা শুরু করি। তখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। যেমন নারী শিশু মামলা, সাইবার ক্রাইম। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এই বইটি লেখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ হই। বইটি সাংবাদিকদের অনেক কাজে আসবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।