শুক্রবার দুপুর থেকে কয়েক ঘণ্টা রাজধানীর বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে জমজমাট বেচা-কেনা দেখা গেছে।
দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর হাটে গিয়ে দেখা যায় হাতেগোনা কয়েকটি গরু। বরিশাল থেকে সেখানে গরু নিয়ে আসা বেপারী ইদ্রিস মিয়া জানান, সপ্তাহজুড়ে হাট প্রায় ফাঁকা থাকলেও গত বুধবার থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। শেষ দিকে এসে লাভও হচ্ছে তাদের।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১২টা গরু নিয়া আইছিলাম। বেঁচা হইসে ১১টা। একটা খালি আছে। প্রথম ৫টা গরু একদম লসে বিক্রি করছি। প্রতিটা গরুতে কম না হলেও ১৫ হাজার টাকার উপর লস খাইসি। কিন্তু বাকিগুলোতে ৮-৯ হাজার টাকা লাভ থাকছে। এই করোনার মধ্যেও এমন দাম পামু, সেডাই তো জানতাম না।”
এই হাটে মেহেরপুরের গাংনী থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারী চাঁন মিয়া বলেন, “প্রথম দিকে আমরা যে দাম কইতেছিলাম, কাস্টমাররা তার অর্ধেক দাম কইত। এখন শেষ দিকে আইসা একটু লাভ হইসে। আমার আটটা গরুর সবকয়ডাই বিক্রি হইসে।”
ঝিনাইদহ থেকে আসা বেপারী শাহীন আলম বলেন, “শেষ দিকে কাস্টমাররাও বুঝতে পারছেন আমাদের অবস্থা। দামে খুব একটা কম বলতাসেন না এখন। আমার ছয়টা গরুর মধ্যে চারটা গরু বিক্রি হইসে। শেষ দুটা গরু বিক্রি করেই বাড়ি যামু।”
রাজধানীর কমলাপুর হাট থেকে ৮৬ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় কিনেছেন বাসাবোর আব্দুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শেষ দিকে দাম ছাড়তে রাজি না বেপারীরা। কালকে কোরবানি। এখন কী আর করা যাবে? একটু বেশি দাম দিয়েই কিনে নিলাম গরু। তবে খুব যে বেশি দাম দিতে হয়েছে তা নয়। করোনার মধ্যে দাম একটু বেশি চাওয়াই স্বাভাবিক।”
জাতীয় পার্টির নেতা মনিরুল ইসলাম মিলনও গরু কিনেছেন কমলাপুর হাট থেকে।
তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, “ঢাকার বেশিরভাগ হাটে গরু নাই। বিশেষ করে উত্তরা, পূর্বাচল ৩০০ ফিট, ডুমনী, সাঈদনগর, আফতাবনগর, শাহজাহানপুর হাটে কোনো গরু নাই সকাল থেকে।
“সারা দিন অনেক হাট ঘুরে অবশেষে কমলাপুর গিয়ে অনেক কষ্টে চড়া দামে একটা গরু কিনলাম কোরবানি দেওয়ার নিয়তে। সেখানেও গরু কম। গড়ে একটা গরুর জন্য কমপক্ষে ১৫-১৬ হাজার ক্রেতা ঢাকার হাটে। এটা কৃত্রিম সঙ্কট নয়, আসলেই গরুর তীব্র সঙ্কট।”
হাটে গরু কম কেন- তার ব্যাখ্যা দেন পোস্তগলা শ্মশান ঘাটের বেপারী রিয়াজ উদ্দিন।
সূত্র: https://bangla.bdnews24.com