নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে ১০ বছরের শিশু শান্তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে স্বীকার করেছেন কাঠমিস্ত্রি মাজেদুর রহমান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকার তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
জবানবন্দি শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ওই গ্রামের চার জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাজেদুর রহমান (২৫) শিশু শান্তাকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
জবানবন্দিতে মাজেদুর জানান, ঘটনার দিন বিকেলে তার লেবু ক্ষেতের কাছে আসে শান্তা।
তখন ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মাজেদুর শান্তার গলায় পেঁচানো ওড়না ধরে টান দেন।
শান্তা চিৎকার করার চেষ্টা করলে তিনি ওড়না আরো জোরে টান দিয়ে ধরেন।
একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে শান্তাকে মাজেদুর ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান।
গত বুধবার সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মেয়ে শান্তাকে বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
রাত আটটার দিকে তার মরদেহ বাড়ির পাশে একটি কচুক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতেই নিহত শান্তার ভাই সানি আলম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত শান্তা ওই গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে। সম্পাদনা – অলক কুমার