কোথাও খেতে গেলেন কিংবা শপিংয়ে, কিউআর কোড স্ক্যান করেই বিল মেটাতে পারছেন। করোনার সময় থেকেই এই অভ্যাস হয়েছে সবার। নগদ টাকা সঙ্গে না থাকলেও চিন্তা নেই। যে কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন অনলাইন পেমেন্টে। তবে এই সুযোগই নিচ্ছে প্রতারকরা। কিউআর কোড স্ক্যান করতেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া গেল, এমন ঘটনা প্রতিদিনই কারো না কারো সঙ্গে ঘটছে। তাই কিউআর কোড স্ক্যানিংয়ের আগে সতর্ক থাকতে হবে। জেনে নিন কী করবেন, কী করবেন না-
>> অচেনা কারো সঙ্গে, যাকে আপনি সামনে দেখতে পাচ্ছেন না, এমন কারো সঙ্গে টাকা লেনদেনের দরকার হলে কিউআর কোড স্ক্যান এর পরিবর্তে নেট ব্যাঙ্কিং বা নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে ওয়ালেট ট্রান্সফার করতে পারেন। >> অনেক সময়ে আপনি কারো কাছে থেকে পাওনা টাকা চাইলে তিনিও আপনাকে কিউআর কোড পাঠিয়ে স্ক্যান করতে বলতে পারেন। তার ক্ষেত্রেও সরাসরি নেটব্যাঙ্কিং বা আপনার ফোন নম্বরে ওয়ালেটের মাধ্যমে ট্রান্সফার নেওয়া ভালো।
>> অনেক ক্ষেত্রে আপনি পাওনা টাকা হাতে পাওয়ার জন্য হয়তো কোনো কিউআর কোড স্ক্যান করলেন। তাতে আপনি তো টাকা পেলেনই না, উল্টে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কাটা শুরু হলো। এমন ক্ষেত্রে যদি অল্প টাকাও কাটা যায় সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্যাঙ্ক ও পুলিশকে বিষয়টি জানান।
>> সরাসরি টাকা না হাতিয়ে অনেক সময়ে কিউআর কোড এর আড়ালে আপনার স্মার্টফোন বা গ্যাজেটে ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। তাই যে কোনো জায়গায় যে কোনো কিউআর কোড স্ক্যান করবেন না। >> আপনার মোবাইলের স্ক্যানার ও ওএস সব সময়ে আপডেট রাখবেন। আপডেশনের সঙ্গে সঙ্গে সিকিউরিটি ফিচারও আপডেটেড হয়।
>> আপনার মোবাইল বা গ্যাজেটে ব্যাঙ্কিং বা অনলাইন ট্রানজকশন এপ থাকলে সেগুলোতে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখুন। তাতে কিউআর কোড স্ক্যান করতে গিয়ে কোনো কারণে মোবাইল হ্যাক হলেও চট করে একাউন্টে থাবা বসাতে পারবে না প্রতারকরা।