ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত; ঔষধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দেশব্যাপী করোনাভাইরাস রোগ মোকাবেলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৪ মার্চ ২০২০ তারিখের ০৫.০০.০০০০.১৭৩.০৮.০১৪.০৭.৭২ এবং ০১ এপ্রিল ২০২০ তারিখের ০৫.০০.০০০০. ১৭৩.০৮.০১৪.০৭.৭৫ নং প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামি ১২ ও ১৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখ নববর্ষের নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি এর সাথে সংযুক্ত থাকবে।

জরুরি পরিসেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্রাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানী, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্র পরিবহণ এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবহিভর্‚ত থাকবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তিতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলায় সকল ধরনের রাজনৈতিক/সমাজিক/ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সভা, সমাবেশ, সাপ্তাহিক হাট, গণ-জমায়েত, কোচিং সেন্টার, ক্লাব, বিনোদন পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, যে কোন ধরণের পার্টি এবং জনবহুল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ বলবৎ রাখা হয়েছে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জেলার সকল উপজেলা এবং জেলা শহরে অর্থাৎ সকল জায়গায় বিকাল ৫টা থেকে ঔষধ ব্যতিত সকল দোকান বন্ধ থাকবে। কোনভাবেই ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য হবে না। জরুরী সেবার আওতাভূক্ত দোকানসমূহ বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এসময় দেশে পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সামগ্রী মজুদ আছে। বিনা কারণে দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে ভোক্তদের সাথে প্রতারণা না করা এবং জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।

একই ভাবে জনসাধারণকে ভীত ও আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বল করার পরামর্শ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক সকলের উদ্যেশ্যে বলেন, অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। আপনারা ঘরে থাকুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সহায়তা করুন।

পরিশেষে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।