মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১৪ অক্টোবর ভোর রাতে দুই কাভার্ড ভ্যান ভর্তি ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
সেই সময় দুটি কন্টেইনারসহ ভ্যানসহ চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
কন্টেইনার দুইটি থেকে ভারতীয় শাড়ি, ওড়না, লেহেঙ্গা, গমের বস্তা উদ্ধার করা হয়।
জব্দকৃত মালের তালিকা থেকে জানা যায়, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের শাঁড়ী-১৮,০৩৩ পিচ, ওড়না-১,৮৫০ পিচ, লেহেঙ্গা-০৩ পিচ, গমের ৯০ বস্তা, ও কাভার্ড ভ্যান-০২ টি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালের মোট আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি পাঁচ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মালামালের পরিমান ও মোট মূল্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে দেওহাটা নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি দুটি আটক করা হয়।
পরে গাড়ির চালক ও সহকারীর স্বীকার করে যে, গাড়িতে ভারতীয় শাড়ি ও গম আছে।
এরপর গণনা ও মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কলরোয়া উপজেলার দক্ষিণ দিঘনা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩০), সদরের আবুল মোহসীনের ছেলে আকতারুল ইসলাম (৩৫)। উভয়েই কাভার্ড ভ্যান চালক।
হেলপার দুইজনই সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এরা হলো, এরফান আলী গাজীর ছেলে হেলপার মশিউর (৪০) এবং সাতক্ষীরা সদরের দিদার উদ্দিনের ছেলে হেলপার নাসির উদ্দিন (৩০)।
কাভার্ড ভ্যান দুটি অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা শাড়ি নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার ইসলামপুরে যাচ্ছিলো।
পথিমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা নামক স্থানে মির্জাপুর থানার এসআই রুবেলের নেতৃত্বে পুলিশ কাভার্ড ভ্যান দুটি আটক করে।
একইসাথে কাভার্ড ভ্যানের দুই চালক ও দুই হেলপারকে আটক করা হয়।
কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে গমের বস্তা দিয়ে ঢাকা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি জব্দ করা হয়।