টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মাইজবাড়ী-মাদারিয়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভয়াবহ বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই আঞ্চলিক সড়কের মাইজবাড়ী অংশের মাত্র ১০০-১২০ মিটার অংশ এখন এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাস্তার খোয়া উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ। একসময় পাকা সড়ক হলেও এখন চেহারা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে হেঁটেও চলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ফলদা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মাইজবাড়ী-মাদারিয়া গ্রামের সঙ্গে বিভিন্ন গ্রামের সংযোগ স্থাপন করেছে। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বড় অংশ ভূঞাপুর পৌরসভার আওতায় থাকলেও মাত্র ১২০ মিটার অংশ পড়েছে ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে। পৌরসভার অংশ পাকা হলেও ইউনিয়ন অংশটির বেহাল দশা কাটেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৮ সালে নিম্নমানের আরসিসি ঢালাই করে নামমাত্র কাজ করা হয়েছিল, যা কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে যায়। ২০১৯ সালে বাকি অংশটি এলজিইডি পাকা করলেও মাইজবাড়ীর ১২০ মিটার অংশ অপরিবর্তিত থেকে যায়। বর্তমানে খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় বৃষ্টি হলে চলাচল একেবারেই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু দীর্ঘ ১৫ বছর দায়িত্বে থেকেও এলাকাটির উন্নয়নে নজর দেননি। অথচ নিজেই কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
মাইজবাড়ী গ্রামের ব্যবসায়ী জুব্বার আলী বলেন, ‘পৌরসভার সীমান্তঘেঁষা এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু ভাঙাচোরা রাস্তায় এখন আর কেউ চলাচল করতে চায় না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলাম বলেন, বহুবার সাবেক চেয়ারম্যানকে প্রকল্প এলেই জানানো হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যানও গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।