ঢাকা থেকে ভুল ট্রেনে উঠে টাঙ্গাইল স্টেশনে নামার পর তরুনী গণধর্ষনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার রাতে পৃথকভাবে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি শেষে আদালতের বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া সিরাজাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়াকে (২৭) গ্রেপ্তার করে। এর আগে শনিবার সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে এক যুবতি চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য ঢাকা বিমান বন্দর থেকে ট্রেনে ওঠে। কিন্তু ভুল করে ঐ যুবতি উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে ওঠে। ভুল ট্রেনে ওঠার বিষয়টি বুঝতে পারলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নামেন ঐ যুবতী। স্টেশনে নেমে বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানান। জিআর পুলিশ দুলাল নামে এক সিএনজি চালককে যুবতিকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন। এই সুযোগে দুলাল যুবতিকে ফুসলিয়ে স্টেশনের পিছনে কাঠবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে অপর দুই জন রুপু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে ভোররাতে স্টেশনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের বিষয়টি জিআর পুলিশকে জানালে তারা থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি এবং আমাদের সহযোগিতায় থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
টাঙ্গাইল থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় দুপুরে ওই তরুনী ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আরো জানান, ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য ওই তরুনীকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার নেয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।