টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নতুন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ০৭ জুন স্বাস্থ্যকর্মীরা নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান। এর মধ্যে শনিবার (১৩ জুন) সকালে রিপোর্ট আসে নাগরপুরে নতুন করে ১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত চিকিৎসক শাহেদ আল ইমরান নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। আবাসিক ডাক্তারের আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.রোকনুজ্জামান খান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.রোকনুজ্জামান খান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার (আরএমও) শাহেদ আল ইমরান করোনা কালীন সময় থেকে হাসপাতালে আগত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁর জ্বর ঠান্ডার উপসর্গ দেখা দিলে আমরা গত ৬ জুন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ৭ জুন তাঁর সাথে আরও অনেকের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করি। এর মধ্যে ১৩ জুন সকালে রিপোর্ট আসে ডাক্তার শাহেদ আল ইমরান করোনা পজেটিভ।
এ নিয়ে বর্তমানে নাগরপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ৩১ জনে। এর মধ্যে ১০ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, ডাক্তার শাহেদ আল ইমরানকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক আক্রান্ত হলেও তিনি সাধারন মানুষকে অভয় দিয়ে বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
নাগরপুর উপজেলা ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজেলায় গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছে। মানুষ সচেতন না হওয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহŸান জানান।