শিল্প খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় শত শত কারখানা উৎপাদন শুরু করতে পারছে না। ব্যাংক ঋণ নিয়ে কারখানা নির্মাণ করলেও গ্যাসের অভাবে বিনিয়োগকারীরা পড়ছেন চরম সংকটে। অনেকেই আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।
গ্যাস কোম্পানিগুলোর কাছে জমা রয়েছে অসংখ্য নতুন সংযোগের আবেদন। বহু শিল্পমালিক টাকা জমা দিয়ে ডিমান্ড নোট পেলেও বছরের পর বছর সংযোগ পাননি। ফলে বিদ্যুতের মাধ্যমে উৎপাদন চালাতে গিয়ে ৮-১০% অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কেউ কেউ লোকসানে পড়ছেন, আবার কর্মসংস্থানও কমে যাচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের কাছেই নতুন ও পুরনো মিলে গ্যাস সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির ১,১০০টি আবেদন জমা আছে, যার মধ্যে ৪০০-এর বেশি গ্রাহক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও সংযোগের অপেক্ষায়। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল গ্যাসের দাম ৩৩% বাড়ানো হলেও নতুন কোনো সংযোগ দেওয়া হয়নি। জানুয়ারি থেকে নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে দেশের দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২৮০-২৯০ কোটি ঘনফুট, এর মধ্যে শিল্পে যাচ্ছে ১২০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, তিন ধাপে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে— ৩ দিনের মধ্যে, ৩ মাসের মধ্যে ও ৬ মাসের মধ্যে সংযোগ দেওয়া সম্ভব এমন কারখানাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জালালাবাদ, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদ অঞ্চলে পরিদর্শন শেষ হয়েছে, তিতাসের ক্ষেত্রেও দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।