ডেস্ক নিউজ : একুশে পদকপ্রাপ্ত, বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৬ বছর।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকেরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তবে মৃত্যুর দুই দিন আগে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বলে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করা হয়নি।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় তাকে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আলী যাকেরকে করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কতা অবলম্বন করে শেষ শ্রদ্ধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ।
প্রিয়জন, সহশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে এসময় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রমুখ।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরিবারের পক্ষে তার মরদেহের পাশে তার স্ত্রী সারা যাকের, ছেলে নাট্যাভিনেতা ইরেশ যাকের, মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া উপস্থিত ছিলেন।
সারাক্ষণ কফিনের পাশে ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এখানে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছিল আলী যাকেরের মরদেহ। সেখান থেকে নেওয়া হয় বনানী, তার কর্মস্থল এশিয়াটিকে।
১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের রতনপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আলী যাকের। ১৯৭২ সালের আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
অভিনয়ের পথচলা শুরু করেন ‘কবর’ নাটকের মাধ্যমে। পরের বছর তিনি যোগ দেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে। অসংখ্য নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।