সরিষাবাড়ি ও ভুঞাপুর সংবাদদাতা : জুয়ার বোর্ডের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলার ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জুয়ারির।
নদীতে নিখোঁজের তিন দিন পর ওই জুয়াড়িদের লাশ যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর ও সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, জুয়া বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবি তাদের।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল এলাকার যমুনা নদী থেকে নিখোঁজ টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মৃত জমসের আলী খানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৭), ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বাশুরিয়া এলাকার যমুনা নদী থেকে ভূঞাপুর উপজেলার নিকলাপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ফজল মন্ডল (৩৩) এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৪০) লাশ উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জামালপুরের পিংনার বাশুরিয়ার যমুনা চরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিলো জুয়ার আসর।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী মান্নান, লিটন ও খোকনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এসময় নিখোঁজ হয় ফজল, হাফিজুর ও ছানোয়ার নামের তিন জন।
পরে নিখোঁজের তিনদিন পর রবিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে যমুনা নদীর টাঙ্গাইল অংশের বাসুদেবকূল থেকে গোপালপুরের হাফিজুর ও বিকালের জামালপুরের বাসুরিয়া থেকে ভূঞাপুরের ফজল এবং সরিষাবাড়ির ছানোয়ারের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদীতে জেগে উঠা চরে জুয়া খেলা হচ্ছিল।
এসময় তারা আরো জানান, নিখোঁজের পর থেকেই জামালপুর পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
পুলিশের বক্তব্য –
জামালপুরের সরিষাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিম জানান, সরিষাবাড়ির সীমান্তবর্তী এলাকার যমুনা নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া জানান, বাসুদেবকোল এলাকার যমুনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা জামালপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) শাহ শিবলী সাদিকের কাছে বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সম্পাদনা – অলক কুমার