প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত ধীরে শুরু হয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। নিয়মিত স্ক্রিনিং না করলে এটি অনেক সময় দেরিতে ধরা পড়ে, যা চিকিৎসাকে জটিল করে তোলে।
প্রধান লক্ষণসমূহ:
-
প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে সমস্যা, দুর্বল প্রস্রাব প্রবাহ, বারবার প্রস্রাবের চাপ (বিশেষত রাতে)
-
প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত দেখা
-
যৌন সমস্যা বা ইরেকশনজনিত সমস্যা
-
পিঠ, তলপেট, উরু বা নিতম্বে ব্যথা
-
বীর্যপাতের সময় ব্যথা ও প্রস্রাবের পর মূত্রথলি খালি না হওয়ার অনুভূতি
ঝুঁকির কারণ:
-
বয়স ৫০ বছরের বেশি হলে
-
পরিবারে কারও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে
-
স্থূলতা বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
প্রতিরোধ ও করণীয়:
-
নিয়মিত স্ক্রিনিং ও রক্ত পরীক্ষা করানো
-
প্রস্রাব বা যৌন জীবনের যেকোনো পরিবর্তন খেয়াল করা
-
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
প্রোস্টেট ক্যান্সার ধীরে বাড়লেও শুরুতেই শনাক্ত হলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই সচেতন থাকুন, নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।