শীতের শুরুতেই তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভোরে বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলা এবং বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। এতে ফুসফুস সুরক্ষিত থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণ ও ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে শুধু সতর্কতাই নয়, প্রয়োজন শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, আর সেটি গড়ে ওঠে সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। শীতে শরীর ডিটক্স ও ইমিউনিটি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এমন ৫টি উপকারী খাবার নিচে তুলে ধরা হলো—
পালংশাক বাজারে এখন সহজেই পাওয়া যায় তাজা পালংশাক। এতে থাকা ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ফুসফুস সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আমলকি ভিটামিন সি’র অন্যতম উৎস আমলকি শরীরের টক্সিন দূর করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। প্রতিদিন একটি আমলকি সর্দি–কাশি ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারে।
হলুদ কাঁচা হলুদ বা রান্নায় হলুদের ব্যবহার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা দূষণজনিত ক্ষতি কমায়।
আখরোট শীতে ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে আখরোট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
ব্রকলি ব্রকলিতে থাকে সালফোরাফেন ও ভিটামিন ই, যা শরীর ডিটক্স করতে সহায়তা করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়, দূষণ ও মৌসুমি সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শীতকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।











