বিশেষ সংবাদদাতা : ১৬ ডিসেম্বর বুধবার ছিলো মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির উৎসবের দিন, আনন্দের দিন।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস।
৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভূখন্ড। বিজয় দিবসে জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারি এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ ছাড়াও ৩১ বার তোপধ্বনিসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস দিন শেষ হলেও শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বা অন্য কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা।
বিজয়ের ধারক ও বাহক হিসেবে নিজেদের সব সময় দাবি করলেও এ ক্ষেত্রে সেটা মানেননি কেউ।
এ বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে।
কাকুয়া ইউনিয়নের প্রধান শহীদ মিনারে এবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
পুরো শহীদ মিনারে এ দু’টি সংগঠনের ফুলের তোড়া শোভা পেয়েছে। আর কেউ আসেনি শ্রদ্ধা জানাতে।
খাস কাকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের এ শহীদ মিনারে আসেনি বিদ্যালয়ের কেউই; আসেনি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষক লীগের কেউই।
কাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ছাত্তার আজাদ বলেন, ‘বিজয় দিবসে ভলিবল ও ব্যাটমিন্টন খেলার মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।’
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, ‘বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য কোন লিখিত নির্দেশনা ছিলো না; যে কারণে কাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কোন কর্মসূচি পালন করেনি।’
সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার কিছু নেই। আমি তাদের সাথে কথা বলছি।’ সম্পাদনা – অলক কুমার