টাঙ্গাইল সদর
,
সংবাদ দাতা
আজ ২১ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘মেধা যাচাই পরীক্ষা’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো জেলা শিক্ষা অফিসে কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক আদেশ পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন যে প্রাথমিকের মেধা যাচাই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় পরীক্ষার প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধা যাচাই পরীক্ষা এক মাসের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মেধা যাচাই পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এই স্থগিতাদেশের কারণে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় মেধা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১৪ হাজার ৭৯২ জন। এর মধ্যে বালক ৬ হাজার ৩৭০ জন এবং বালিকা ৮ হাজার ৪২২ জন।
উপজেলাভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৭১ জন, নাগরপুরে ১ হাজার ৪৬৯ জন, ঘাটাইলে ১ হাজার ৩৭৫ জন, সখীপুরে ১ হাজার ২৭০ জন, গোপালপুরে ১ হাজার ৭৮ জন, মধুপুরে ৮৩৭ জন, ভূঞাপুরে ৭৫৮ জন, মির্জাপুরে ১ হাজার ৬৩৭ জন, বাসাইলে ৬৭৩ জন, দেলদুয়ারে ৭৩৯ জন, কালিহাতীতে ১ হাজার ৭০৬ জন এবং ধনবাড়ীতে ৫৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে বলে জানান অভিভাবক ও শিক্ষকরা। টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদনান জানায়, সারা বছর অপেক্ষার পর পরীক্ষার ঠিক আগে স্থগিতের খবর জানানো হয়েছে। এটি একটি বড় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হওয়ায় অংশ নিতে না পারায় সে হতাশ।
অভিভাবকরাও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যখন জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন প্রাথমিকের মেধা যাচাই পরীক্ষা স্থগিত থাকা দুঃখজনক। তারা চলতি বছরেই পরীক্ষাটি আয়োজনের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশের কপি এখনও হাতে না আসায় এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ, জেলা প্রশাসনের লোকবল ও দিকনির্দেশনা না থাকায় আপাতত পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে যথারীতি মেধা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।











