কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের ধানসহ অন্যান্য খাদ্য শস্য পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ আছে। বর্তমান বোরো মৌসুমে প্রচুর ধান উৎপাদন হয়েছে। এই ধানগুলো আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে যদি আমরা ঘরে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের দেশে আগামী ৬ মাস খাদ্যের কোন অভাব হবে না।
করোনার কারনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবারও কোন সম্ভাবনা নাই। যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের পাশে থাকেন। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ধান রোপন থেকে কাটা পর্যন্ত সব কিছুই যন্ত্রের মাধ্যমে করা হবে। কৃষির সকল ক্ষেত্রকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে। এজন্য সকল যন্ত্র বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী আর ও বলেন, করোনার প্রভাবে খাদ্য সঙ্কট নিয়ে বিশেষজ্ঞদের যে শঙ্কা তা কাটিয়ে উঠতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। করোনা পরবর্তী সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদনের প্রণোদনায় ৪ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রান্তিক চাষী পর্যায়ে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো বিতরণে অনিয়ম বা চুরি কঠোর হস্তে দমন করা হবে, সে যে দলেরই হোক। মন্ত্রী শনিবার (০২ মে) টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়কারী নিবার্চন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।