করোনা মহামারিতেও দেশের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা, কর্মপরিকল্পনায় অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রকট অভাব করোনা সঙ্কটকে গভীরতর করছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতা ও এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খোদ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরাই প্রশাসনিক হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।
একদিকে সাংবাদিকরা ত্রাণ বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের খবর তুলে ধরছেন, অন্যদিকে সরকার তখন করোনা সংক্রান্ত তথ্য জানার সুযোগ সীমিত করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার নামে সমালোচনাকারীদের কণ্ঠরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০২০।
রোববার “বাংলাদেশে কোভিড-১৯: তথ্যের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিস্থিতির বিশ্লেষণ” শীর্ষক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক চিত্র প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২০ (ওয়ার্লড প্রেস ফ্রিডম ডে, ৩ মে) উপলক্ষে ২ মে অনলাইনে আয়োজিত ’ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ফোরাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল ওই প্রতিবেদেনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশে করোনা প্রস্তুতির শুরু থেকে এ সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৮ মার্চে। এসময়ের মধ্যে মত প্রকাশ, তথ্যের অধিকার ও স্বচ্ছতা, ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতাসহ এমন ২০টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৫৭টি ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ড করা হয়।
এসব ঘটনায় আক্রান্ত/ভূক্তভোগী/ অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন মোট ১৭৪ জন। শুধু মত প্রকাশজনিত অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ৪১টি। এসব ঘটনায় আক্রান্ত/ভুক্তভোগীর সংখ্যা ১৩৯ জন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী। সূত্র- আমাদের সময় ডট কম