বিশেষ প্রতিবেদক : নৈতিক স্খলন হওয়া এক ছাত্রলীগ নেতাকে গোপন ক্যামেরা দিয়ে বাসার মালিকের মেয়ের গোসলের দৃশ্য ধারণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নৈতিক স্খলন হওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতা হলো- হিমেল সিকদার (২৩)।
বুধবার রাতে মির্জাপুর সদরের ইউনিয়ন পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হিমেল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় হিমেল সিকদারকে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অব্যাহতির বিষয়টি জানিয়েছেন।
একইসাথে তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় আট মাস আগে হিমেল সিকদার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ে না মানায় সে মির্জাপুর ইউনিয়ন পাড়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
হিমেল কয়েকদিন ধরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই বাসার মালিকের মেয়ের গোসলের ভিডিও ধারণ করেন।
পরে গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ওই বাসার ভাড়াটিয়া দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহুর্ত ভিডিও করার জন্য ঘরের ধরণার সঙ্গে গোপন ক্যামেরা লাগাতে গেলে দম্পতি দেখে ফেলেন।
পরে বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জিজ্ঞাসাবাদে হিমেল প্রথমে সব অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এছাড়া গতকাল বুধবার দুপুরে তাঁর মুঠোফোন থেকে বাড়ির মালিকের মেয়ের গোসলের পাঁচটি ভিডিও দেখতে পান ভাড়াটিয়ারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন খান জানান, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ছাত্রলীগ নেবেনা।
হিমেলকে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, হিমেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। মুঠোফোন ও গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার