নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৪ বছর উদযাপিত হয়েছে।
ভাসানী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের সন্তোষ ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সৈয়দ ইরফানুল বারী, অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, খোদা-ই-খেদমতগারের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন আয়োজক ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাওলানা ভাসানী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একটি জনসভায় “আসসালামু আলাইকুম” বলেই তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের নেতা।
এছাড়া তার আত্মজীবনী ও রাজনৈতিক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা নিয়েও আলোকপাত করেন আলোচকরা। সভায় বক্তারা মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন সরকারি ভাবে পালন করার দাবি জানান।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে ১৯৫৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সেই সম্মেলন উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহর থেকে সন্তোষের কাগমারী পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় তোরণ নির্মিত হয়েছিল।
সেই তোরণগুলির নামকরণ করা হয় বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) থেকে শুরু করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং ব্রিটিশ বিরোধী উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী নেতাদের নামে। উল্লেখযোগ্য তোরণগুলোর নাম হলো- হযরত মোহাম্মদ (সা.) তোরণ, মহাত্মা গান্ধী তোরণ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী তোরণ, কাজী নজরুল ইসলাম তোরণ, মহাকবী ইকবাল তোরণ, নেতাজী সুভাস বোস তোরণ, হাজী শরিয়তউল্লাহ তোরণ, শহীদ তিতুমির তোরণ, পন্ডিত জহরলাল নেহেরু তোরণ, হাজী মোহাম্মদ মহসীন তোরণ, সি.আর.দাস তোরণ, লেলিন তোরণ, স্ট্যালিন তোরণ, মাও সেতুং তোরণ, ওয়ার্ডসওয়ার্থ তোরণ, বায়রন তোরণ, শেলী তোরণ, মাওলানা রুমী তোরণ, হযরত ইমাম আবু হানিফা তোরণ, হযরত ইমাম গাজ্জালী তোরণ।
এভাবে ৫১টি তোরণের নামকরণ করেন মওলানা ভাসানী। সর্বশেষ তোরণটি ছিল কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে। সম্পাদনা – অলক কুমার