গোপালপুর প্রতিনিধি : গোপালপুর পৌর নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মো. খলিলের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (০৬ মার্চ) ডুবাইল বাসস্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইঞ্জিনিয়ার কে এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মানিক হাসান মিলু প্রমুখ।
নিহত খলিলের পিতার অভিযোগ, গত ৮ ফেব্রুয়ারি খলিল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। ওই দিন তিনি খুনের সাথে জড়িত আসামীদের নাম উল্লেখ করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ আসামীদের নাম নিয়ে খুনের মামলা নিতে অস্বীকার করেন।
পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামী দেখিয়ে থানায় খুনের মামলা নেন।
এমতাবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিহতের পিতা নাসিম উদ্দিন টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে ২০ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে খুনের মামলা রেকর্ডের আবেদন জানান।
আর্জির প্রেক্ষিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট মো. শামসুল আলম ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারার বিধানমতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পরে আদালত এক আদেশনামায় ওই খুনের ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের হয়েছে কিনা এবং সেই বিষয়ে মামলার সর্বশেষ অবস্থা প্রতিবেদন আকারে জানানোর জন্য গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে আগামী ২৩ মার্চ সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।
নিহতের পিতার অভিযোগ, চিহ্নিত খুনিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা।
গোপালপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলার সর্বশেষ অবস্থা আদালতি প্রতিবেদন আকারে জানানো হয়েছে।
তবে আইনগত কারণে একই খুনের ঘটনায় পৃথক দুই মামলা হবেনা।
অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানা পুলিশ যে খুনের মামলা নিয়েছে সেটির সাথে আদালত বাদীর দায়ের করা হলফনামা অভিযোগ আকারে সংযুক্ত করে নেয়া হবে।
এখন মামলার তদন্ত চলছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযানও চলছে। ইতিমধ্যে নজরুল নামক এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রকৃত খুনিদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার