নিজস্ব প্রতিবেদক : গত সাতদিনে টাঙ্গাইলে ২২০২টি নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩২ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
এরমধ্যে ১৭ জুন ৩১৩টির মধ্যে ১১৩টি, ১৮ জুন ৩৩৫টির মধ্যে ১৪৫টি, ১৯ জুন ২৫৮টির মধ্যে ৯২টি, ২০ জুন ১৫৩টি নমূনার মধ্যে ৪৭টি, ২১ জুন ৩৮৫টি নমূনার মধ্যে ১৬৫টি, ২২ জুন ৩৩৫টি নমূনার মধ্যে ১২১টি এবং ৪২৩টি নমূনার মধ্যে ১৪৯টি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার পর্যবেক্ষণ করে টাঙ্গাইল সদর পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভায় লকডাউন আদলে “কঠোর বিধিনিষেধ” আরোপ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে টাঙ্গাইল ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ২২ থেকে ২৮ জুন সাত দিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
এইসব এলাকায় কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ছাড়া হোটেল, মার্কেটসহ সবই বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবাহী ট্রাক ছাড়া রিক্সা, ইজিবাইক, সিএনজিসহ যাবতীয় যানবাহন বন্ধ থাকবে।
কিন্তু বাস্তবে এই কঠোর বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে অত্যন্ত ঢিলেঢালা ভাবে।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার মধ্যে অবস্থিত নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে দূর পাল্লার গাড়ি যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
পৌর এলাকার সব সড়কেই দেখা গেছে রিক্সা, ইজিবাইক, সিএনজিসহ যাবতীয় যানবাহনের চলাচল।
আর এগুলোতে যাত্রী পরিবহণে মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব।
ভিডিতে দেখতে লিংকে ক্লিক করুন – https://youtu.be/oT2u87C42yI
নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে দূর পাল্লার বাস চলাচলের ব্যাপারে টাঙ্গাইল বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি জানান, বিধিনিষেধ আরোপের প্রথমদিন পুলিশ প্রশাসন থেকে বাস বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরে মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে দূর পাল্লার বাস যাতায়াত করছে।
অপরদিকে এলেঙ্গাতেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলাসহ রিক্সা, ইজিবাইক, সিএনজিসহ যাবতীয় যানবাহন চলাচল করছে।
এবিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি মুঠোফোনে বলেন, আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ নাই; তাই নতুন বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করছে, কিন্তু শহরে প্রবেশ করতে পারবে না।
এসময় তিনি দুটি পৌরসভার সর্বত্র কঠোর বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে বলেন দাবি করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার