সখীপুর প্রতিনিধি : টাংগাইলের সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও আড়তে রূপচাঁদা মাছ নামে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে পিরানহা।
মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এই মাছ বাংলাদশে চাষ নিষিদ্ধ করা হলেও এখনও অবলীলায় এগুলোর চাষ হচ্ছে এবং গ্রাম গঞ্জের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
বাস্তবে পিরানহা হচ্ছে রাক্ষুষে মাছ। অনেকটা রূপচাঁদার মতো দেখতে হলেও এই মাছ চেনার উপায় এর দাঁত; রূপচাঁদার দাঁত হয় মিহি ও নরম, তবে পিরানহার দাঁত বড় বড় ও শক্ত ধারালো।
রূপচাঁদা সাধারণত সাদা রঙের হয়ে থাকে, তবে পিরানহা দেখতে অনেকটাই তেলাপিয়ার মতো; তবে এর বড় বড় দাঁত রয়েছে।
উইকিপিডিয়া ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে সরকারিভাবে এই মাছ বাংলাদেশে চাষ বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে ধূর্ত মাছচাষিরা এখনও গোপনে এর চাষ করছে এবং সখীপুর উপজেলার মহন্দপুর, শালগ্রামপুর, বহেড়াতৈল হাটসহ বিভিন্ন বাজারে রূপচাঁদা নামক এই রাক্ষুসে পিরানহা মাছটি বিক্রি হচ্ছে।
অনেকে এটাকে রূপচাদা মাছ মনে করে কিনে নিয়ে যাচ্ছে এবং রান্না করে খাচ্ছে।
সম্প্রতি বহেড়াতৈল বাজারে এই পিরানহা মাছটি রূপচাঁদা বলে বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতারা কম দামে পাওয়ায়, না বুঝে রূপচাঁদা মাছ হিসেবে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।
আব্দুল বাতেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এটা রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করছে। আমরা পিরানহা মাছ চিনি না; তবে রূপচাঁদা মাছের দাম ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কিন্তু এই মাছ মাত্র দুইশ’ টাকায় বিক্রি করছে।’
বিষয়টি নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সরকার যে এই মাছটা বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সেটা তাদের জানা ছিল না; তবে এই মাছটা যদি বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকে তবে আর বিক্রয় করবেন না।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সমীরন কুমার মুঠোফোন জানান, সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ সখীপুরে উৎপাদন হয় না।
পিরানহা মাছ বিক্রয় হচ্ছে এটা তাদেরকে কেউ জানায়নি। তবে গ্রামের হাটগুলোতে বিক্রি হতে পারে! দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার