নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে একদিনে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন ও ট্রেনের ধাক্কায় দুইজন সহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জামালপুর রেললাইনে ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা গ্রামে অরক্ষিত রেলক্রসিং পাড় হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিটকে খাদে পড়ে চালক জাহিদুল ইসলাম (২৮)।
দুর্ঘটনায় আহত দুই যাত্রী রবিউল ইসলাম (৩৫) ও বাদশা মিয়া (৪৫)কে চিকিসার জন্য টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে বাদশা মিয়ার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করলে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান।
নিহত জাহিদুল ইসলাম ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ও বাদশা মিয়া ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের ডাকনা পটল গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের পাছবিক্রমহাটি নামক স্থানে শনিবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক সেনা সদস্য আইয়ুব আলী (৩৬) নিহত হন।
তিনি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ধাপনপাড়া গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে এবং সেনাবাহিনীর কর্পোরাল ছিলেন।
নিহত আইয়ুব আলী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় কর্মরত ছিলেন। ছুটি শেষে তিনি কর্মস্থলে ফিরছিলেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এসময় তিনি জানান, নিহতের পরিবার ও ঘাটাইল সেনানিবাসে সংবাদ পাঠানো হলে তারা এসে লাশ শনাক্ত করে।
পরে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, একই মহাসড়কে কালিহাতী উপজেলার সল্লা নামক স্থানে শনিবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে লোটন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী জুবায়ের হোসেন (২৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল চালক শাহনেওয়াজকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত জুবায়ের বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে।
আহত শাহনেওয়াজ গাইবান্ধা জেলার সেকান্দর আলীর ছেলে। দুজনেই ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ঘাতক বাসটিকে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে গেছে। সম্পাদনা – অলক কুমার