কালিহাতী প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে রেললাইন ব্রীজের পাশ থেকে কালিহাতী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি’র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্য (৪১) উপজেলার নগরবাড়ী গ্রামের সুভাষ চন্দ্র আর্য্যর ছেলে এবং ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিখোঁজ হওয়ার পরদিন মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কালিহাতি উপজেলার ধলাটেঙ্গর এলাকায় রেললাইন ১০৬ নং ব্রীজের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি ইউনানী ঔষধ কোম্পানির মার্কেটিং প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন।
পরিবারের অভিযোগ, গোবিন্দকে হত্যা করে রেললাইনের পাশে লাশ ফেলে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এছাড়াও স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সঠিক তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গোবিন্দ আর্য্য সোমবার সন্ধ্যায় নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়।
এরপর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ধলাটেঙ্গর এলাকায় রেললাইন ব্রীজের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর আসে।
পরে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে লাশটি গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্যের শনাক্ত করে।
গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্যর বাবা সুভাষ চন্দ্র জানান, তার ছেলে ঋণগ্রস্থ ছিল। গোবিন্দকে পাওনাদাররা বিভিন্ন সময় হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
এঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান কালিহাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার; নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ তালুকদার; কালিহাতি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কাশীনাথ মজুমদার পিংকু প্রমুখ।
গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।
টাঙ্গাইল জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে জানান, এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ঘারিন্দা স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সাইফুল ইসলাম জানান, লাশের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাত-পা ভাঙা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার