নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে টাঙ্গাইলের তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের প্রথম দিন টাঙ্গাইলের চারটি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়।
মনোননয়ন পত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ওরফে ঠান্ডু; টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদা রহমান খান ও টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের জাসদ (ইনু) প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা।
জানা যায়, যাচাই বাছাইয়ের প্রথম দিনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী), টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) ও টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের ৩০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই বাছাই করা হয়।
যাচাই বাছাই শেষে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
জেলা রিটানিং অফিস সূত্র জানায়, ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি অভিযোগে ইউনুস ইসলাম তালুকদার ও ফরিদা রহমান খানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
এছাড়াও জাসদের মনোনয়ন পত্রে সভাপতির স্বাক্ষর না মিল না থাকায় এস এম আবু মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এই বিষয়ে ওই ভোটার মো. আরফান আলী সেক জানান, আমি কারো জন্য কোথাও সই টই দেই নাই। আমার নামে এগুলো করছে, আমি জানি না।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক।
এই বিষয়ে আমি আপিল করবো। আমার বিশ্বাস আদালতে আমি সুবিচার পাবো।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর মনোনয়নপত্রের সাথে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন।
সেখান থেকে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
সেখানে ৯টি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়। তবে একটি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি।
ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
পরে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এছাড়াও আরও দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।