কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে কমপক্ষে ৩টি বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে।
হুমকিতে রয়েছে ৮-১০ টি বাড়ীসহ কয়েক একর ফসলি জমি।
ভুক্তভোগী স্থানীয় আমজাদ আলী, আবুল হোসেন, ,জামাল মিঞা, আলাল হোসেনসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নে টুনি মগড়া নামক স্থানে আনালিয়া বাড়ী গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে বালুখেকো শফিকুল ইসলাম শফি অবৈধ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাদে বালু উত্তোলন করে আসছে।
ফলে ওই এলাকার নদীর তরিবর্তী তিনটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং হুমকিতে রয়েছে আরো ৮-১০টি বসত ভিটা।
তারা আরো জানান, এলাকায় বালু ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম শফি স্থানীয় বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও প্রশাসনের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে।
সখ্যতার সুযোগে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আতাত করে দেদার চালাচ্ছে এ বালু ব্যবসা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এক সময়ের দিনমুজুর শফিকুল ইসলাম শফি বালু ব্যবসা করে এখন কোটিপতি।
তার বিরুদ্ধে কেই প্রতিবাদ করলে নানা হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এর সত্যাতা মিলে।
দেখা যায় যমুনা নদীর শাখা নিউ ধলেশ্বরী (এলেংজানী) নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছে শফিকুল ইসলাম শফি।
দশকিয়া ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্য জানান, বালু ব্যবসায়ী শফি একসময়ে কামলার কাজ করতো। নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সে এখন কোটি টাকার মালিক।
ড্রেজার বন্ধে প্রশাসনকে জানানো ছাড়া আমরা কেউ প্রকাশ্য প্রতিবাদ করতে পারিনা।
ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন, মো. আাব্দুল হালিম, আবুল হোসেন, জামাল মিঞা, আলাল হোসেন, আমিনুর ইসলাম, সোমেজ মিঞা সোহেল রানা, মুনছুর আলী, মহির উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন যাবত নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমিসহ আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে।
কিছু বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেলে আমরা কি করমু? কোথায় গিয়ে বাড়ি ঘর বানামু?
ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় বসবাস করব কান্না জড়িত কন্ঠে তারা এসব জানান।
প্রশাসনের বক্তব্য :
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাহিদ হোসেন জানান, স্থানীয় অনেকেই বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে; অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ,গত ৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের টুনি মগড়া নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন ভুক্তভোগী ওই পরিবারে সদস্যরা।
পরে কালিহাতী উপজেলা প্রশাসন গিয়ে ড্রেজার মেশিনটি ধবংস করে দেন। সম্পাদনা – অলক কুমার