করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইল জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতে নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন মঙ্গলবার বিকেল থেকে অন্য জেলার জনগণ যাতে নাগরপুর উপজেলায় ঢুকতে না পারে সেজন্য উপজেলার সমস্ত এন্ট্রি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের শত চেষ্টা সত্তে¡ও নাগরপুর উপজেলার জনগণ ঘোষিত লকডাউনের বিধি নিষেধ মানছেন না। তারা প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তুচ্ছ কারণে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে লকডাউনে থাকার চেষ্টা লক্ষ্য করা গেলেও সেটা লোক দেখানো সর্বস্ব বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। গ্রাম, পাড়া, মহল্লার প্রবেশ পথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে তরুণরা মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসছে না।
উপজেলার প্রতিটি বাজারে মানুষের অযথা ঘোরাফেরা করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সাপ্তাহিক হাট বসানোরও চেষ্টা করছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে বেশ কিছু সিএনজি ও অটোরিক্সা। এদিকে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ লকডাউন হওয়ায় সেখান থেকে বেশ কিছু লোক রাতের আধারে নাগরপুরে ঢুকে পড়েছে। এতে করে গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে নাগরপুর উপজেলার প্রবেশ পথগুলোতে স্থাপিত চেকপোস্টে পুলিশের কড়াকড়ি না থাকায় সেখান দিয়ে অবাধে যাতায়াত করছে মানুষ। গ্রামের ভিতরে অবস্থিত টং দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর লোকসমাগমের খবর পাওয়া গেছে। জনসাধারণকে ঘরে ফেরাতে পুলিশকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল। তাদের দাবি পুলিশ যদি কঠোর হয় তাহলে মানুষ অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করার সাহস পাবে না।
এদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি দিনদিন আরো খারাপের দিকে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যুবকদের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রে করা হচ্ছে। তাদের উদ্যোগে গ্রাম, পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বহিরাগত প্রবেশ এবং এলাকা থেকে বের হওয়া বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে। মানুষ যদি এখনও সচেতন হয়ে ঘরে ফিরে না যায়, তাহলে এ উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।