অলক কুমার : লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল।
রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টন এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল।
র্যাব এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মো. হাফিজুর রহমান লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী হাফিজুর রহমান (৪৫) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের আ. ছাত্তারের ছেলে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলের প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন বন্ধুর মৃত্যু
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময় টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ বিশেষ দল এক অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু পাসপোর্ট ডেবিট কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
টাঙ্গাইলে র্যাব -১৪ এর কোম্পানী কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের পিপিএম সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গত ৩ জানুয়ারী মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রাামের হাফিজুর রহমান ভাল বেতন ও থাকা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিটন নামের এক ব্যক্তিকে লিবিয়া পাঠায়।
সেখানে হাফিজুরের সহযোগীরা লিটনকে জিম্মি রেখে মারধর করে; পরে তাকে দিয়ে তার বাবাকে ফোন করে তিন লাখ ২৫ হাজার হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি লিটনকে বেধরক মারপিটের ভিডিও পাঠিয়ে আরো ১৩ লাখ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় লিটনের বাবা বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮/১০ ধারা পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩৮৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যমতে এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় কোম্পানী কমান্ডার।
তবে, মো. হাফিজুর রহমান কিভাবে মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা হয়েছেন; তিনি কত দিনযাবত মানব পাচার করছেন; এপর্যন্ত কতজনকে পাচার করেছেন; তার অধিনস্ত কতজন দালাল আছে, সেই সকল তথ্য দেয়নি র্যাব।
উল্লেখ্য –
গত ৩ জানুয়ারি মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা একই গ্রামের লিটন নামক এক ব্যক্তিকে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা ও ভাল বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় পাঠায়।
লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর প্রতারক চক্রের সদস্য শফিক ও শাকিল লিটনকে জিম্মি ও মারধর করে তার পরিবারের নিটক মুক্তিপণ দাবি করেন।