নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন এক গ্রাম পুলিশ।
অভিযোগকারী ওই গ্রাম পুলিশ হলো মো. লাল মিয়া।
০৯ মে ঘাটাইল থানার ওসি, ১০ মে পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দেন লাল মিয়া।
অভিযোগে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত শিকদার ব্যাপক দূর্নীতি করে সকল প্রকার সরকারি অর্থ জনগণের কল্যাণে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করছে।
আরো পড়ুন – সাগরদিঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!
২০২১-২২ অর্থ বছরের ৪০ দিনের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে শ্রমিকের সিম নিয়ে ইউপি সচিবের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান উত্তোলন করছেন।
এছাড়া, দরিদ্র অসহায়দের জন্য যত গৃহ বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিটির জন্য চেয়ারম্যান হেকমত শিকদার ও বন অফিসার মলে ২৫-৩০ হাজার টাকার বিনিময় ছাড়া সুপারিশ করেন না।
অভিযোগে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান হয়ে অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন হেকমত শিকদার।
টাঙ্গাইল এবং ঢাকা উত্তরাতে করেছেন বিশাল অট্টালিকা, সাগরদিঘীতে দু’তালা বাড়ী নির্মাণ ও কামালপুর, মালির চালা সহ বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয় করেছেন।
এছাড়া অভিযোগকারী মো. লাল মিয়া একজন ছোট কর্মচারি হয়ে মৃদু প্রতিবাদ করলে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন পূর্বক মৃত্যুর হুমকি দিয়ে সকল প্রকার ডিউটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে।
আরো পড়ুন – মাটি কম্প্যাকশন ঠিক মতো হয়নি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে – ইউএনও ঘাটাইল
অভিযোগের বিষয়ে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, লাল মিয়া একটা নেশাখোর, মাদক খায় ও মাদক বিক্রি করে।
তার বিরুদ্ধে সকল মেম্বাররা, চৌকিদাররা অভিযোগ দিছে। শুধু তাই নয়, এলাকার জনগনও অভিযোগ দিছে। পরে তাকে শাসন করা হয়।
শাসন করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেছে। সম্পাদনা – অলক কুমার