টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ও তাদের মিটার রিডিং কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার না দেখে ইচ্ছেমতো বিল তৈরি করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে ৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার ইউনিট পর্যন্ত গরমিল পাওয়া গেছে মিটারের রিডিং ও বিলের মধ্যে।
বিশেষ করে সেচ পাম্প গ্রাহকদের সঙ্গে এমন ভূতুড়ে বিল ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে বেশি। অনেক গ্রাহক নির্ধারিত সময়েই বিল পরিশোধ করেছেন, তারপরও তাদের শূন্য ইউনিট দেখিয়ে ১৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গ্রাহকদের ৭ দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধে নোটিশ দেওয়া হয়। বিল না দিলে মামলার ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে জানান, রিডিংম্যানরা মিটার না দেখেই ঘরে বসে কল্পিত ইউনিট লিখে বিল তৈরি করেন। কেউ কেউ জানান, বিদ্যুৎ অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে মিটার চালু বা বিল সংশোধন করা হয়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিচ্ছিন্ন কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমাদের কাছে যেসব অভিযোগ এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”