নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে করোনা সংক্রমনের হার কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা করলেই যে কোন মূহুর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
তাই যতক্ষণ পর্যন্ত না করোনা ভাইরাসের শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
টাঙ্গাইলে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত নতুন করে ৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ১৫ দশমিক ২৫ ভাগ।
গত ৮ আগস্ট থেকে সংক্রমনের হার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে।
বিষয়টি সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায় –
সোমবার সকাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৩০ জন, সখীপুরে ৩ জন, নাগরপুরে ২ জন ও গোপালপুরে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১৫ হাজার ৬২৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ২৩৬ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৯ হাজার ৫৪৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৪১৭ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০৫৯৩ জন।
গত ৮ আগস্ট ৫১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৪ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ২০ শতাংশ।
৯ আগস্ট ৮৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫২ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১৭ শতাংশ।
১০ আগস্ট ৮৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১৭ শতাংশ।
১১ আগস্ট ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৯ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১৮ শতাংশ।
১২ আগস্ট ৬১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১২ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১৮ শতাংশ।
১৩ আগস্ট ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৮ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১৯ শতাংশ।
১৪ আগস্ট ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১১ শতাংশ।
১৫ আগস্ট ৪৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জন শনাক্ত হয়; আক্রান্তের হার ছিলো ১৬ শতাংশ।
গত জুলাই মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণের হার ছিল অনেক বেশি। জুলাই মাসে ৫ হাজার ৯৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হন; যা মোট আক্রান্তের ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলার প্রথম মৃত্যু হয় গত বছরের ২০ এপ্রিল; ৩১ জুলাই মোট মৃতের সংখ্যা ২১৩। মোট মৃত্যু ৪৯ দশমিক ২৯ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঈদের পরে লকডাউন ও সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় টাঙ্গাইল এক সপ্তাহ যাবত সংক্রমনের হার কমতে শুরু করেছে।
তাই সকলকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার