নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে ঢিলেঢালা ভাবে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে একপ্রকার লুকোচুরি খেলা খেলছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
তবে টাঙ্গাইল থেকে দূরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি ও কোন গাড়ি শহরে প্রবেশও করেনি; মহাসড়কেও দূরপাল্লার কোন যাত্রীবাহী বাস চলতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও জনগণের মধ্যে দেখা গেছে উদাসীনতা।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড, নিরালা মোড়, সমবায় মার্কেট, পার্ক বাজার, বটতলা, সাবালিয়া, আমিন বাজার, ছয়আনি বাজার, সদর উপজেলার করটিয়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের ন্যায় তাদের পসরা সাজিয়ে কেনাবেঁচা করছে।
কাঁচা বাজার ছাড়াও অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, সামনে বৈশাখের পর পরই পবিত্র রমজান। এছাড়া অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকল্প নেই।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করায় তারা ওই সময় দোকানপাট বন্ধ রাখলেও পর মুহূর্তেই খুলছেন। তারা নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান।
ক্রেতারা জানায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই তারা বাজারে এসেছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তারা মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করছেন।
সরকার লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত; কাজ করতে না পারায় তাদের অবস্থা নাজুক।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে।
সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও তা জীবনের চেয়ে বড় নয়। জেলায় লকডাউন কার্যকর করতে বেশকিছু গ্রহন করা হয়েছে।
এছাড়া সর্বসাধারণকে তিনি সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার আহবান জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার