নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাজমুল হুদা শাহেন শাহ্ ও তার পরিবার।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বেলটিয়া বাড়ী এলাকার মৃত শাহ্ শামছুল হুদার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য নাজমুল হুদা শাহেনশাহ্ বলেন, একই এলাকার শাহ্ নয়া মিয়ার ছেলে শাহ্ সাফি ও শাহ কাফি’ সহ কতিপয় ব্যক্তি তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে।
আরো পড়ুন – চার বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্য ঢেকে দিয়েছে চার আওয়ামী লীগ নেতার ব্যানার
আমার বড় ভাই, মা, বোন, বিদেশে অবস্থান করিতেছে। এ দিকে চাচা, চাচাতো ভাইয়েরা চাকুরী এবং ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন।
শাহ্ সাফি প্রকাশ্যে কোন আয় রোজগার না থাকায় তাদের ১৪ শতাংশ ভুমি দলিল নং- ৭০১৬ ও ৯৩৩৯ নং সাব কবলা দলিল মূলে আমাদের ভাইদের নিকট বিক্রি করেছে।
উক্ত ভূমির বি,এস পর্চা ও হাল খাজনা খারিজ আমাদের নামে চূড়ান্ত হয়েছে।
বিক্রিত ভূমি শাহ্ সাফি এবং শাহ কাফি আইন বর্হিভুতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় বেদখল করার অপচেষ্টা করে একাধিক সময়।
এই ঘটনায় একাধিক মামলা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান’সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একাধিক বার শালিস দরবার হয়েছে।
কিন্তু শাহ সাফি এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাস্তান থাকায় এবং তাহার বাহামভূক্ত ইন্ধননদাতাদের কু-পরামর্শে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎপর রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ মার্চ তাহার বাহামভূক্ত ভাড়াটিয়া রাশেদা বেগম দ্বারা আমাদের প্রাণনাশসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ হয়রানি পেরেশানি করিতেছে।
ইতি পূর্বেও আরো তিনটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি পেরেশানি করিয়াছে। এই তিনটি মামলাও মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়।
আমরা এলাকার ওই সন্ত্রাসীদের অনৈতিক কর্মকান্ডে হেয় প্রতিপন্ন হইয়া ও হুমকির মধ্যে অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করিতেছি।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে, ভুক্তভোগীর পরিবার আরো জানায়, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এসিল্যান্ড, টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি ও গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে সুবিচার ও শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সহ নিরাপত্তা চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যানের বক্তব্য –
এ বিষয়ে গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাদের পরিবারের মাঝে সহায় সম্পদ নিয়ে একটু বিরোধ রয়েছে; সে বিরোধের কারণে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে।
সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনায় ওই এলাকার ভাড়াটিয়া রাশেদা বেগমকে কিছু লোকজন ইন্ধন দিয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে পাসপোর্ট অফিসে “চ্যানেল ফি” না দেওয়ায় মারামারি, মামলা
আমি যতটুকু জেনেছি এটি তর্ক-বিতর্ক নিয়ে একটি সাধারণ ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। স্বেচ্ছায় যদি দুই পক্ষই আসে, তাহলে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি। সম্পাদনা – অলক কুমার