বিশেষ সংবাদদাতা : উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া জেলার ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই ও ঝিনাই নদ-নদীর পানিও বেড়েছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার ভুঞাপুর উপজেলার কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া গ্রামে প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সেখানকার বসতিরা।
এদিকে গেল দুই দিন যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে এ পানি বৃদ্ধির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এতে যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার; ধলেশ্বরীতে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদের পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। কোথাও কোথাও ভাঙনও দেখা দিয়েছে।
তবে জেলায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়লেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি; তবে পানিবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় পাউবো ও কৃষি বিভাগ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে নদীর পানি লোকালয় বা নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করে পানিবন্দি হচ্ছে মানুষজন। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্পাদনা – অলক কুমার