টাঙ্গাইলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার আরো বেড়েছে। গত চারদিনে ১০৪ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। সংক্রমণের এই উর্ধ্বগতিতে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন জেলার সতেচন মহল। টাঙ্গাইলকে পরিপূর্ণ কঠোর লকডাউনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
টাঙ্গাইলে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ০৮ মার্চ। সেই দিন থেকে ৭৯তম দিনে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একশ’তে পৌঁছায়। আর তার ১০ দিন পর অর্থাৎ ৫ জুন জেলার আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ’ পেরিয়ে হয় ২১৯ জনে। আর তার ৮ দিন পর অর্থাৎ ১৪ জুন জেলার আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৩১৯ জন। এরপরের ৭ দিনে পজিটিভ হয় আরো ১০৬ জন। তারপরের ৫ দিনে পজিটিভ হয় ১০৩ জন নিয়ে পাঁচ শতক পেরিয়ে যায়। সব শেষে মাত্র চারদিনে ১০৪ জন আক্রান্ত হয়। বর্তমানে টাঙ্গাইলে মোট পজিটিভ ৬১২টি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত টাঙ্গাইলবাসী।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের এর মধ্যে মির্জাপুর ১৯৪, সদর ১২১, নাগরপুর ৩৮, কালিহাতী ৩৭, মধুপুর ৩৪, দেলদুয়ার ৪২, ধনবাড়ী ২৪, ঘাটাইল ২৫, গোপালপুর ৩৪, ভূঞাপুর ২৯, সখিপুর ২১ এবং বাসাইল ১৩ জন আক্রান্ত।
এই সময়ে জেলায় মোট ২২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে সদরে ৪২, নাগরপুরে ৩২, দেলদুয়ারে ২২, সখিপুরে ১০, মির্জাপুরে ৫২, বাসাইলে ২, কালিহাতীতে ৭, ঘাটাইলে ১০, মধুপুরে ১৫, ভ‚ঞাপুরে ৯, গোপালপুরে ১০ ও ধনবাড়িতে ১৪ জন।
অন্যদিকে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে মির্জাপুরে ৫, ঘাটাইলে ২ জন। এছাড়া সদর, দেলদুয়ার, সখিপুর, মধুপুর ও ধনবাড়িতে ১ জন করে মারা গেছেন।
দিন দিন সংক্রমণের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ টাঙ্গাইলের সুশীল সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইলে সংক্রমনের হার আরো কিছুটা বেড়েছে। যা উদ্বেগজনক। তবে এই গতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন এসেছে। মেশিন ইন্সটলেশন সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল এটি পরীক্ষাও করে গেছেন। এখন তাদের প্রতিবেদন পেলেই আমরা পিসিআর ল্যাব চালু করে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো। এছাড়া পরিচালনায় দক্ষ জনবল চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।