ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে একটি ট্রাকের গতি রোধ করার সময় শর্টগানসহ সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) মহাসড়কের হাতিয়া অংশে পৌঁছালে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) এবং একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) দিয়ে ট্রাকটির গতি রোধ করা হয়। বিষয়টি টহল পুলিশের নজরে এলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
একপর্যায়ে সন্দেহ হলে প্রাইভেট কার ও পাজেরোতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে একটি লাইসেন্স করা শর্টগান, ছয়টি সিসা কার্তুজ, একটি লেজার লাইট, দুটি সিগন্যাল লাইট, চারটি শর্ট ওয়াকিটকি ও দুটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। পরে তিনটি গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফূলী থানার জুলথা গ্রামের বাবুলাল দাসের ছেলে সুমন দাস (৪২), একই জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার লতিফপুর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে নাজিম উদ্দিন অভি (২৮), ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার নুর ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৪), কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার পুলিশ লাইন্স এলাকার মুন্সী আবিদ আলীর ছেলে সহিদ উল্ল্যা (৫৮), পাবনার সদর উপজেলার চকধুবুলিয়া গ্রামের আকবর খাঁর ছেলে আকাশ আলী (২৪), একই জেলার সদর উপজেলার রাধানগর চক জায়েনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন সোহাগ (৩৩) ও নয়নামতি গ্রামের মো. রেজাউলের ছেলে মো. রহিম (১৯)।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি সবজেল হোসেন জানান, ‘হাইওয়েতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা প্রতিনিয়ত টহল জোরদার রেখেছি। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ভোর রাতে মহাসড়কে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করায় তিনটি গাড়ি থামানো হয়। তল্লাশিতে একটি প্রাইভেট কার ও একটি পাজেরো থেকে শর্টগান, কার্তুজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হওয়ায় সাতজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।’











