টাঙ্গাইল সদর
,
সংবাদ দাতা
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় জিয়া পরিবারের নেতৃত্ব অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণ সব ঐতিহাসিক বিজয় জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই অর্জন করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে চারটি বড় ঐতিহাসিক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে।
সুলতান টুকু বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের সিপাহী–জনতার বিপ্লবেও তার নেতৃত্ব ছিল, যার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়। তিনি আরও বলেন, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানিতে জড়িত, তারা আজ বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসে কর্মসূচি পালন করছে। এ দেশের মানুষ তাদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় না।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক বিজয় উৎসবে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন, ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিয়া পরিবারের উত্তরসূরি দেশনায়ক তারেক রহমান। প্রতিটি আন্দোলনের বিজয়ের পেছনে শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবার ও বিএনপির মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি জাতীয় নির্বাচন, যা দেশের মানুষ বহু দিন ধরে আশা করে আসছে। বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাই এবারের নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
সুলতান টুকু বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিজয়ের মাসে আমাদের অঙ্গীকার হোক, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করা হবে।”
অনুষ্ঠানটি টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শ্যামল হোড এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব উদয় লাল গৌড় এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ.কে.এম. মনিরুল হকসহ অন্যান্যরা।











