জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী। কারণ হিসেবে দলটি বলছে, জাতীয় সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন ও সংস্কার বিষয়ে জাতিকে জানাতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব তুলে ধরে দলটি। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বৈঠকে অংশ নেয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ১৮ দফা দাবি পেশ করেছেন তারা। সংস্কার ও জাতীয় সনদের বিষয়গুলো জনসমক্ষে প্রকাশে ইসিকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একইদিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হলে সহিংসতা হতে পারে, ভোটগ্রহণ কম হতে পারে, ভোটকেন্দ্র বন্ধ হতে পারে। তাই আলাদা দিনে গণভোট করাই সমীচীন। দলটির প্রস্তাবের মধ্য রয়েছে, সব নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ও।
এদিকে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তকে ফের সমর্থন জানানোর কথাও এ সময় উল্লেখ করেন জামায়াতের নেতারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের দাবি, ইসলামী ব্যাংকের সাথে তার দলের সম্পর্ক নেই। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা দুঃখজনক এবং এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেও মন্তব্য করেন।
এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরাও বিএনপির অনেক প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে কথা বলতে পারতাম, কিন্তু সেটি আমরা করিনি।










