নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যমুনা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত মানুষগুলো।
ফসলের মাঠ, বসতবাড়ি খেলার মাঠ, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে বিস্তির্ণ এলাকা, বদলে গেছে সেখানকার দৃশ্যপট।
নদীর পাড় ভাঙে, বাড়ে যমুনার সীমানা; সেই সাথ বাড়ে সেখান কার মানুষের কান্না। যমুনা পাড়ের অসহায় মানুষের চোখের পানি আর নদীর পানি একাকার হয়ে গেছে।
সরেজমিন, উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের খাষ ঘুণি পাড়া ও খাষ তেবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শত শত একর ফসলি জমি, বহু ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা কবর স্থান ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।
অনেকেই তাদের ঘর বাড়ি গাছপালা সহ গবাদিপশু অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই তাদের ক্ষেতের ফসল ঘরে তুলতে পারেনি।
এদিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল, খাষ ঘুণি পাড়া, খাষ তেবাড়িয়া, চর সলিমাবাদ, ভূতের মোড়, ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানি, মারমা, পাঁচতারা, আগদিঘলীয়া, উলাডাবের রাস্তা, বাজারঘাট ও ঘর বাড়ি যমুনার ও ধল্লেশ্বরীর ভাঙনের কবলে পড়েছে।
খাষ তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. দানেজ শেখ বলেন, ২ বছরে আমি ৬ বার বাড়ি সড়িয়ে নিয়েছি।
এখন আমার যাবার মতো কোন জায়গা নেই। পয়পোলাপান নিয়ে কি করবো কোথায় যাবো?
স্থানীয় সার্জেন (অব:) আলতাব হোসেন বলেন, এবার পানি বাড়ার সাথে সাথে আমার বাড়ি ভেঙ্গে যায়। আমার মতো এমন অসহায় অবস্থায় আর জানি কেউ না পড়ে।
তেবাড়িয়া ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. রাজা মিয়া বলেন, আমার ওয়ার্ডে ২ হাজার ৭ শত ৭৫টি ভোটার আছে।
এর মধ্যে অর্ধেক ভোটার এই নদী পাড়ের। যমুনার ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি নিয়ে তারা একটু আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য জোড় দাবী জানাচ্ছি।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোলায়মান ভূইয়া জানান, ভাঙন রোধে সাময়িক ইমার্জেন্সি কাজ চলছে।
তবে এটা কোন স্থায়ী সমাধান না। ভাঙন রোধ ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের বিকল্প নেই বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার