বাংলাদেশে একটি যৌথভাবে অপরিশোধিত তেল শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনায়’ কুয়েতের নতুন রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা ও কুয়েতের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা ও অভিবাসী কল্যাণ-এই খাতগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা। রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও কুয়েতের দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে উৎসাহিত করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘কুয়েত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু।
এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে হালাল খাদ্য শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজার অনেক বড়। আমি আপনাকে এই উদ্যোগে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উৎসাহিত করছি।’ রাষ্ট্রদূত হামাদাহ কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেন, যা দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। অধ্যাপক ইউনূস কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য আরো ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক সদস্যদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’