বাসাইল প্রতিনিধি : প্রেমের পর পালিয়ে আদালতে বিয়ে করে তন্নী ও সায়েম।
এরপর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের দুই পরিবারের সম্মতিতে সামাজিকভাবে তাদের আবারো বিয়ে হয়।
কিন্তু বিয়ের প্রথম রাতেই লাশ হয় তন্নী।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে নববধূ তন্নীর লাশ মেলে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়।
টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার বাসাইল পশ্চিমপড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বাসাইল থানা পুলিশ নিহত নববধূর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার জরাশাহীবাগ এলাকার অগ্রনী ব্যাংকের সাবেক ব্যাবস্থাপক হাশেম খানশুর এবং বাসাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার বিউটি আক্তারের কলেজ পড়ুয়া ছোট মেয়ে জান্নাতুল আক্তার তন্নীর (১৮) সঙ্গে বাসাইল পশ্চিমপড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইমের (৩৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে তারা দু’জনে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে আদালতে বিয়ে করে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে সামাজিকভাবে আবারো বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের প্রথম রাত শেষেই ওই ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নববধূ তন্নীর লাশ পাওয়া যায়।
নিহত জান্নাতুল আক্তার তন্নীর মা বিউটি বেগম বলেন, ‘প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে আমার মেয়েটি প্রথমে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।
এরপর দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে সামাজিকভাবে বিয়ে পরানো হয়।
স্বামীর বাড়িতে মেয়েটি প্রথম রাত কাটায়। এরপর সকালে জানতে পারি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
এসময় তিনি বলেন, ওরা আমার মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
সাইমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী হাসি খানম বলেন, ‘সকালে সবাই একত্রে খাবার খেয়েছি; পরে সাইম বাজারে যায়। এরপর সবার অজান্তে তন্নী আত্মহত্যা করে।’
পরে ঝুলন্ত অবস্থার মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা বুঝতেছি না।’
বাসাইল থানার এসআই আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।’ সম্পাদনা – অলক কুমার