সুদূর হিমালয় থেকে ভারতের বুক চিঁড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মহানন্দা নদী। সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা হতে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীটি। যুগের পর যুগ ধরে এই নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন করেই চলে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের জীবিকা। তবে কয়েক বছর ধরেই আর আগের মতো মিলছে না পাথর। সেই সাথে পাথর উত্তোলনের জন্য সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। বিকল্প আয়ের কোনো উৎস না থাকায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পাথর শ্রমিকরা।
ভোর হতেই পাথর উত্তোলনের দেশীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে শত শত শ্রমিক। জাকলা দিয়ে বালি ছেঁকে চলে পাথর সংগ্রহ। তবে আগে দিনভর পাথর তোলা গেলেও এখন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে দুপুর পর্যন্ত।মহানন্দাসহ পঞ্চগড়ের বিভিন্ন নদী থেকেই পাথর ও বালু উত্তোলন করে শ্রমিকরা। গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয় এই অঞ্চলের বালু-পাথর।
তেঁতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, পাথর শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা নিজেরাও চেষ্টা করছি।
তেঁতুলিয়ার অর্থনীতির ভিত গড়ে উঠেছে এই পাথর শিল্পকে ঘিরে। কিন্তু নদীতে পাথর সংকটের কারণে বিকল্প কর্মসংস্থানের খোঁজে শ্রমিকরা। প্রতিদিন এই নদী থেকে কয়েক লাখ টাকার পাথর বেচাকেনা হয়।